alexa

Carrer tips

সোনিয়া রিফাত,

উপস্থাপনাকেও পেশা হিসেবে নেওয়া যায় : সোনিয়া রিফাত

উপস্থাপনাকেও পেশা হিসেবে নেওয়া যায় : সোনিয়া রিফাত
Sonia

সোনিয়া রিফাত বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে উপস্থাপনা এবং বাংলাদেশ বেতারে নিউজ মনিটর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি সমাজবিজ্ঞানে সম্মান শেষ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। শিশু সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু করে আবৃত্তিচর্চা করতে করতে এক সময় সিটিএফএম’র আরজে এবং প্রডিউসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর রেডিওটুডেতেও আরজে হিসেবে করেছেন দীর্ঘদিন ।

সোনিয়া রিফাত কর্মদক্ষতা, প্রচেষ্টা আর একাগ্রতা দিয়ে সফলতার সিঁড়িতে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলেছেন লক্ষ্যের দিকে। তার ক্যারিয়ার এবং সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে জাগো জবসের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন মেহেদী শামীম।

জাগো জবস : নিজেকে কোন পরিচয়ে তুলে ধরতে চান?
সোনিয়া রিফাত : নিজেকে একজন উপস্থাপিকা হিসেবেই তুলে ধরতে চাই । সেটা টিভি, রেডিও কিংবা মঞ্চ হোক । উপস্থাপনার সব জায়গাতেই কাজ করতে চাই। আর আমার মনে হয়, বাংলাদেশে এখন উপস্থাপনাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

জাগো জবস : আপনার পড়াশোনা নিয়ে যদি কিছু বলতেন-
সোনিয়া রিফাত : ছাত্রজীবন থেকেই যুক্ত হয়েছি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে। পড়াশোনাও চালিয়ে গেছি সমানতালে। এখনো কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাও চলছে। অনার্স শেষের পথে।

জাগো জবস : কাজের শুরুর সময়ের অভিজ্ঞতাটা যদি শেয়ার করতেন-
সোনিয়া রিফাত : কাজের শুরু বলতে গেলে অনেক আগে থেকে শুরু করতে হয়। স্কুলের শিশু সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু। এরপর সাংবাদিকতাকে ভালোবাসতে শুরু করলাম। তবে উপস্থাপনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় রেডিও শুনতে শুনতে। তখন কলেজে পড়তাম। এরপর যখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি তখন একদিন শুনলাম যে আরজে হান্ট হচ্ছে। সাহস জুগিয়ে কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই অডিশন দিলাম সিটি এফএমে। আমার কণ্ঠ পছন্দ হয়ে যায় তাদের। সেখান থেকে উপস্থাপনা শুরু। সেখানে প্রায় দেড় বছর কাজ করলাম আরজে এবং প্রডিউসার হিসেবে। এরপর রেডিও টুডে-তে অনেকদিন কাজ করেছি। আর ২০১৬ এর এপ্রিল থেকে এনটিভির সঙ্গে যাত্রা শুরু। এখন এনটিভি-তে ‘জানার আছে বলার আছে’ নামের একটি লাইভ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারের নিউজ বিভাগে কাজ করছি।

জাগো জবস : কার অনুপ্রেরণায় পেশাটিকে ভালোবেসে ফেললেন?
সোনিয়া রিফাত : টিভি উপস্থাপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম নাবিলা আপু এবং মুনমুন আপুকে দেখে। উপস্থাপনায় তারা দু’জন আমার আইডল বলতে পারেন। তবে আমার খুব সৌভাগ্য বলতে হবে। কারণ এনটিভির যে অনুষ্ঠানটি নাবিলা আপু উপস্থাপনা করতেন এবং আমি দেখে মুগ্ধ হতাম; সেই অনুষ্ঠানটি এখন আমি উপস্থাপনা করছি।

জাগো জবস : টেলিভিশন নাকি রেডিও- কোথায় কাজ করতে বেশি ভালো লাগে?
সোনিয়া রিফাত : টেলিভিশন, রেডিও, মঞ্চ- সব জায়গাতেই কাজ করতে ভালো লাগে। তবে রেডিওতে কাজ করার মজা আলাদা। কারণ সেখানে অনেকটা স্বাধীনভাবে কথা বলা যায়। রেডিওতে নিজের সবটুকু সৃজনশীলতা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু টেলিভিশনে অনেক কিছু মাথায় রেখে উপস্থাপনা করতে হয়।

জাগো জবস : এ পেশায় আসার ক্ষেত্রে আপনার কি কোনো প্রশিক্ষণ রয়েছে?
সোনিয়া রিফাত : আমার তেমন কোনো প্রশিক্ষণ ছিলো না। তবে যখন আরজে হিসেবে কাজ শুরু করি; তখন প্রাকটিক্যালি শিখেছি। আর একটা ব্যাপার হলো- আমি আবৃত্তিকর্মী ছিলাম বলে বাংলা উচ্চারণটা ভালো ছিলো। সে বিষয়টা কাজে লেগেছে। আর রেডিওতে অনুষ্ঠান করতে প্রশিক্ষণের চাইতে বেশি দরকার জীবনবোধ।

জাগো জবস : আপনার পেশায় আয় ও সুযোগ-সুবিধা কেমন?
সোনিয়া রিফাত : সুযোগ-সুবিধা আছে এখন অনেকটাই। তবে উপস্থাপনাতে পারফরমেন্সের উপরই সবকিছু নির্ভর করে। ভালো পারফর্ম করলে সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি ভালো আয়ও করা সম্ভব।

জাগো জবস : যারা উপস্থাপনায় আসতে চান; তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
সোনিয়া রিফাত : বাংলা উচ্চারণটা অবশ্যই ভালো করতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজিটাও গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় আপডেট থাকতে হয়। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হয়। তাই প্রচুর বই পড়তে হবে এবং পত্রিকাগুলোতেও নজর রাখতে হবে। আর রেডিও-টিভিতে সিভি দিয়ে রাখলে অডিশনের সময় ডাকা হয়। সেভাবে খোঁজ রাখতে হবে।

জাগো জবস : সফলতা বলতে আপনি কী বোঝেন?
সোনিয়া রিফাত : প্রথমে তো লক্ষ্য স্থির করতে হবে, তারপর সেখানে পৌঁছতে পারা হলো সফলতা। যার যে জায়গাটা পর্যন্ত লক্ষ্য; সেই জায়গাতেই তার সফলতা। আমার লক্ষ্য হলো উপস্থাপনাকে পেশা হিসেবে নেওয়া। আমার সফলতা ওখানেই।

জাগো জবস : সেই অর্থে আপনি কি সফল?
সোনিয়া রিফাত : সফলতা পরিমাপ করা যায় না। তবে বলতে পারি, আমি সফলতার পথে। সেই পথের শেষ কোথায় বলতে পারছি না।

জাগো জবস : আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে বলুন-
সোনিয়া রিফাত : উপস্থাপনাতেই থাকতে চাই। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই। আর পড়াশোনা শেষ করতে হবে ভালোভাবে। সবচেয়ে বড় কথা, সততার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।