হোসাইন জয়, 20 Mar 2017 চাকরির বাজার সম্পর্কে জানাও জরুরি Job Market আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে চাকরির বাজারের অসামঞ্জস্যতার কারণে গ্র্যাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অবাক করা ব্যাপার হলো- দেশের প্রায় ৪৭% গ্র্যাজুয়েট তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়ায় বেকারত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছে (সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান)। আরো অবাক করা বিষয় হলো- প্রতিবছর এইচএসসি পাসকৃতদের মধ্যে থেকে মাত্র ১২% শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়। যার ২০% সৌভাগ্যক্রমে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবলিক/প্রাইভেট) এবং বাকি ৮০% শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে থাকেন। চিন্তার কারণ হলো- এইচএসসির পর যে ১২% শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা তথা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার সুযোগ পান তার প্রায় ৪৭% বেকার। তার মানে দাঁড়ায়‚ দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের প্রায় ৫০ শতাংশকেই আমরা কাজে লাগাতে পারছি না যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এই মেধাবীদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশে একটি দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে উঠতো। যারা পরবর্তীতে কর্পোরেট তথা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতো। উল্টো বিদেশ থেকে এতো অধিকসংখ্যক বিশেষজ্ঞ ম্যানেজার আনতে হতো না। আবার আমাদের দেশে এন্ট্রি লেভেলে প্রচুর মেধাবী আর ক্রিয়েটিভ ছেলেমেয়ে আছে যা মিড লেভেলে খুব একটা নেই বলে বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই মতামত দিয়ে থাকেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা মেধাবী বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে ভবিষ্যতে এরাই দক্ষ মিড লেভেল ম্যানেজারে পরিণত হতো। যা থেকে দেশের সব ইন্ডাস্ট্রিই কমবেশি উপকৃত হতো। উচ্চশিক্ষিত- মেধাবী তরুণদের নিয়ে রাষ্ট্রের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে জব ফেয়ার‚ জব রিলেটেড সেমিনার আয়োজন আর লেখনীর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ ও দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও কিছু দায়বদ্ধতা থেকে যায়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তথা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় ছাত্রাবস্থায়ই পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা। সে অনুযায়ী নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়া। যা তাদেরকে বেকারত্বের হাত থেকে বাঁচাতে কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি।