কাইয়ুম, এইচআর প্রফেশনাল,
কেমন হবে আমার সিভি?
![কেমন হবে আমার সিভি?](https://jagojobs.com/media/article-images/What-to-write-in-CV-1_20180818110942.png)
সব সময় মনে রাখবেন ভালো সিভির কোন সঠিক সংজ্ঞা নেই, আকার নেই, মাপ কিংবা পরিমাপ নেই। আপনার কাজ হচ্ছে কি কি সিভিতে থাকা উচিৎ আর কি থাকা উচিৎ নয় তা ভালো করে জানা এবং তাকে মান হিসেবে ধরে সিভি বানানোতে মন দেওয়া।
সবাই সবার নিজের মত করেই নিজের সিভি বানাবে। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার দিক তুলে ধরবে। তার যোগ্যতা আর দক্ষতার সাথে আপনার যোগ্যতা আর দক্ষতা মিলবে না এটাই স্বাভাবিক। অন্য কারো সিভি অনুকরণ করে আর যাই হোক ইউনিক কিছু হবে তা আমি আশা করিনা।
খুব করে মনে রাখবেন আমার সিভি হবে আমার মতই ইউনিক এবং স্বতন্ত্র।
আর অন্য কারোটা দেখে কিংবা কম্পিউটার দোকানে ২০, ৫০ বা ১০০ টাকা দিয়ে করা হলে তা আর নিজের বলে কিছু হবেনা। অন্যের ভিতর জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া এক অন্য আমি হয়ে যাবো আমার সিভিতে।
সবসময় মনে রাখবেন নিয়োগদাতাদের কাছে আপনি আপনাকে উপস্থাপন করছেন আপনার সিভি দিয়ে। তারা ব্যাক্তি আপনাকে দেখে কিংবা জেনে অথবা শুনে প্রথম মূল্যায়ন করেননা। নিয়োগদাতার কাছে আপনার প্রথম পরিচয় হচ্ছে আপনার সিভি। সুতরাং বাজারে কিছু কিনতে গেলে যেমন পণ্য যাচাই-বাছাই করে কিনছেন তেমনি চাকরির বাজারে আপনাকে যাচাইয়ের একমাত্র মাধ্যমটিতে কি নিজেকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন কিনা এটা যাচাই না করে নিজেকে বাজারে তুলে দিবেননা। অন্যথায় কোম্পানিকে যেমন লোকসান গুনতে হয় তেমনি আপনাকেও সিভি প্রিন্টের টাকা সময় আর আশা সব কিছুর মূল্য গুনতে হবে।
সব চাইতে ভালো হয় নিজেই নিজের জন্য একটা কিছু দাড় করিয়ে তারপর অভিজ্ঞ কাওকে দেখিয়ে নেওয়া। গুগলের সাহায্য নিন, পরিচিত কেউ নিয়োগকর্তা থাকলে সাহায্য চাইতে পারেন। মনে রাখবেন পৃথিবী আজ অনেক ছোট। চাইলেই অনেক কিছু আজ হাতের নাগালেই পাওয়া যায় একটু প্রচেষ্টা থাকলে।
লিংকডইন বা ফেসবুকে সেলফি বা কুলফি কম কম দিয়ে প্রোফেশনালদের কাছে যাবার চেষ্টা করুন। তাদের সাথে আপনার কথা শেয়ার করুন। তাদের বন্ধু বানান আখেরে লাভ আপনার।
কাইয়ুম | এইচআর প্রফেশনাল | [email protected]